যশোরের কেশবপুর
ঘেরের বেড়িবাঁধ ভেঙে শতাধিক বাড়ি প্লাবিত
টানা বর্ষণে উপজেলার মাদারডাঙ্গা দাসপাড়ার অদূরে আকবর আলীর ঘেরের বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়।
যশোরের কেশবপুরে মাছের ঘেরের বেড়িবাঁধ ভেঙে শতাধিক বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার মাদারডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই বেড়িবাঁধ সংস্কার না হওয়ায় ক্রমেই সেখানে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার টানা বর্ষণ হয়। এতে মাদারডাঙ্গা দাসপাড়ার অদূরে আকবর আলীর ঘেরের বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এরপর গ্রামে পানি উঠতে থাকে।
গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রামের দাসপাড়া, পালপাড়া, মহলদারপাড়ায় অন্তত ১০০ বাড়িতে পানি উঠেছে। পাঁজিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পেছনেই পানি রয়েছে। পাঁজিয়া স্কুলের একটি অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে।
মাদারডাঙ্গা গ্রামের আনছার আলী ও রফিকুল ইসলাম বলেন, বেড়িবাঁধ ভেঙে বাড়িতে পানি উঠেছে। ঠান্ডা পানি ভেঙে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অনেকেরই ঠান্ডা লেগে গেছে। ঘেরের বেড়িবাঁধ দুর্বল থাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। প্রতিদিনই পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকালও পানির উচ্চতা বেড়েছে পাঁচ ইঞ্চি।
এ সম্পর্কে ঘেরমালিক আকবর আলী বলেন, ঘেরের বেড়ি দুর্বল ছিল না। পানির চাপে টানা বৃষ্টিতে বেড়ির ৩০ ফুট অংশ ভেঙে গেছে। মেরামতের কাজ চলছে। কাল (আজ সোমবার) নাগাদ মেরামত হয়ে যাবে।
২৭ বিল পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক বাবর আলী গোলদার বলেন, মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে তামাশা চলছে। ওই এলাকার পানি নিষ্কাশিত হয় কাটাখালী স্লুইসগেট (জলকপাট) হয়ে ডায়ের খাল দিয়ে হরি নদে। হরি নদ পলি দিয়ে ভরাট হয়ে আছে। নতুন করে ঘেরে বেড়ি ভেঙে যাওয়ায় মাদারডাঙা গ্রামে পানি ঢুকে গেছে। এই পানি দেড় মাসেও নামবে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেশবপুর কার্যালয়ের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মুন্সী আসাদ উল্লাহ বলেন, মাঘ মাসের প্রচণ্ড বৃষ্টিতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। শ্রী নদী খনন না হলে এলাকার পানির সমস্যার সমাধান হবে না। এ বিষয়ে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু পাস হয়নি।