চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় দুই কিশোরের মৃত্যু

লাশ
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে আজ শুক্রবার কর্ণফুলী নদীতে ডুবে এক কিশোরের আর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আরেক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। কর্ণফুলীতে ডুবে মারা যাওয়া কিশোরের নাম প্রিয়ম দাস (১৪)। আর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়া কিশোরের নাম মো. রাসেল (১৪)।

প্রিয়ম দাস নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবার নাম গোবিন্দ দাস। তারা নগরের কোতোয়ালি থানাধীন পাথরঘাটা গঙ্গাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে প্রিয়ম ছোট।

প্রিয়মের চাচা প্রদীপ দাস জানান, বিকেলে সহপাঠী পাঁচ ছয়জনের সঙ্গে প্রিয়ম গঙ্গাবাড়ি ঘাট এলাকায় ফুটবল খেলতে যায়। খেলা শেষে ঘাটে তাঁরা গোসল করতে নামে। এ সময় অন্য বন্ধুরা উঠে এলেও স্রোতের টানে ভেসে যায় প্রিয়ম। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। প্রিয়ম সাঁতার জানত না।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ি সূত্র জানায়, সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে প্রিয়মকে নিয়ে আসা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আর আড়াইটার দিকে নগরের স্টিলমিল বাজারের একটি মুরিগ বিক্রির দোকানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় রাসেল। রাসেলের সহকর্মী দোকানটির ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিন জানান, দুপুরে মুরগি ড্রেসিং করার সময় মেশিনটি বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতাল পুলিশ জানায়, স্টিলের ড্রেসিং মেশিনটিতে মুরগি ড্রেস করার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে যায় রাসেল। বর্তমানে রাসেলের লাশ মর্গে আছে। সে ইপিজেড থানাধীন স্টিলমিল বাজার এলাকার আবুল কালামের ছেলে।