চট্টগ্রাম নগরে ঈদবাজারে ক্রেতা কম
চট্টগ্রাম নগরের শপিং মল ও দোকানপাটে ক্রেতা তুলনামূলক কম। দোকানিরা দোকান খুললেও প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্রেতা পাচ্ছেন না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে করোনাভীতি কাজ করায় ঈদের বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কম। ফলে বেচাবিক্রিও কম।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজার, জহুর হকার্স মার্কেট, টেরিবাজার, চকবাজার, প্রবর্তক এলাকার বিপণিবিতান ও দোকান ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
নগরের পৌর জহুর হকার্স মার্কেটে সাধারণ সময়ে দিনভর ক্রেতাদের ভিড় থাকে। কিন্তু তিন দিন ধরে সেখানে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম লক্ষ করা যায়। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কাপড়ের দোকানগুলো প্রায় ক্রেতাশূন্য। কিছু দোকানে অল্প কয়েকজন ক্রেতা ছিল। ক্রেতার ভিড় না থাকায় অলস সময় পার করছিলেন দোকানমালিক ও বিক্রয়কর্মীরা।
আজমীর স্টোরের নাজিম উদ্দিন বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ক্রেতা আসতে পারছেন না। সাধারণত ঈদের বাজারে গ্রাম থেকে অনেক লোক কেনাকাটা করতে শহরে আসেন। কিন্তু গাড়ি না চলার কারণে এখন মানুষ আসতে পারছেন না।
খাজা গার্মেন্টস নামের একটি দোকানের ব্যবস্থাপক ফরহাদুল মুরাদ বলেন, এবারের ঈদের বাজারের অবস্থা ভালো নয়। করোনা বাড়ায় মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও ভীতি কাজ করছে। ক্রেতা না থাকায় বেচাবিক্রি তেমন হচ্ছে না।
অবশ্য কিছুটা ভিন্ন চিত্র দেখা যায় টেরিবাজারে। সেখানকার বিপণিবিতানের দোকানগুলোতে কমবেশি ক্রেতার উপস্থিতি দেখা যায়।
করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে বারবার আহ্বান জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু চট্টগ্রাম নগরের মার্কেটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে অনীহা লক্ষ করা গেছে। আজ অনেক দোকানের বিক্রয়কর্মীর মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। জীবাণুনাশক বা হ্যান্ড স্যানিটাইজারও দেখা যায়নি দোকানগুলোতে। ক্রেতা অল্প হলেও তাঁদের মধ্যে মাস্ক পরার ব্যাপারে উদাসীনতা দেখা গেছে।