‘চরমপন্থী শীর্ষনেতা’ হিসেবে গ্রেপ্তার করল র্যাব, পরিবার বলছে ঠিকাদার
‘চরমপন্থী শীর্ষনেতা’ হিসেবে কুষ্টিয়ার এক ব্যক্তিকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। পরে তাঁকে নিয়ে কুষ্টিয়ার স্থায়ী বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র্যাব। যদিও পরিবার বলছে, ওই ব্যক্তি একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। ষড়যন্ত্র করে কেউ তাঁকে ধরিয়ে দিয়েছে।
গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম সৈয়দ নূরে আলম ওরফে তারা বাবু (৪২)। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ায়। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আজ রোববার রাত ৭টা ৩৯ মিনিটে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্প থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তাদের একটি বিশেষ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সৈয়দ নূরে আলমকে রাজধানী ঢাকায় আদাবর রিং রোড থেকে গ্রেপ্তার করে। নূরে আলম চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তি ফৌজের প্রধান পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী আমিনুল ইসলাম ওরফে মুকুলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে।
র্যাব বলছে, অভিযানের সময় নূরে আলমের সঙ্গে থাকা কয়েকজন সহযোগী পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব জানতে পারে, সন্ত্রাসী মুকুল তাঁর সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য নূরে আলমের মাধ্যমে বিভিন্ন উঠতি বয়সী যুবক ও সন্ত্রাসীকে অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অস্ত্রের ভান্ডারের কথা স্বীকার তিনি করেন।
পরবর্তী সময়ে নূরে আলমকে শনিবার কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ায় তাঁর নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়। বাড়ির ভেতরে ঘরে তল্লাশি করে একটি এসএমসি, একটি একনলা বন্দুক, একটি পিস্তল, একটি রিভলভার ও ১৮টি গুলি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বলেন, অস্ত্রসহ নূরে আলমকে কুষ্টিয়া মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অন্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।
পরিবারের দাবি, নূরে আলম কুষ্টিয়ার প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকার বাসার সামনে থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বামী নিখোঁজের বিষয়ে আদাবর থানায় জিডি করতে গেলে নেয়নি বলে দাবি তাঁর স্ত্রী সুলতানা জাকিয়ার।
সুলতানা জাকিয়া বলেন, ‘নূরে আলম একজন বড় ঠিকাদার। গণপূর্ত, শিক্ষা বিভাগ, সড়ক বিভাগসহ সব প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। তাঁর নামে কোনো থানায় কোনো মামলা তো দূরে থাক, জিডিও নেই। ষড়যন্ত্র করে কেউ তাঁকে ধরিয়ে দিয়েছে।