চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ রোধে বিশেষ ট্রেনে প্রচারণা

চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়ার বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম। বুধবার সকালে লালমনিরহাট রেলস্টেশনে
প্রথম আলো

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে দপ্তরের আওতাধীন এলাকায় চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়ার বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। আজ বুধবার সকালে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম দিনব্যাপী চলবে।

এ জন্য ইঞ্জিন ও এক বগির একটি বিশেষ ট্রেন সকালে লালমনিরহাট রেলস্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে। এই বিশেষ ট্রেনে শুধু রেল কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক ও স্কাউট সদস্যরা রয়েছেন। বগুড়া রেলস্টেশনে গিয়ে তাঁদের এই প্রচারণা কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ কার্যক্রম বামনডাঙা রেলস্টেশন প্ল্যাটফর্মে চলছিল।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিভিন্ন রেলক্রসিং পয়েন্টে বিশেষ ট্রেনটি থামিয়ে স্থানীয় জনগণকে সচেতন করছেন। চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়ার কুফল, শাস্তির বিধান বুঝিয়ে পাথর ছোড়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে সোপর্দ করার জন্য তাঁদের অনুরোধ জানানো হয়। এ সময় হ্যান্ডমাইকে প্রচারণা, লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ করা হয়।

এই বিশেষ ট্রেনে শুধু রেল কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক ও স্কাউট সদস্যরা রয়েছেন। বগুড়া রেলস্টেশনে গিয়ে তাঁদের এই প্রচারণা কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এ সময় লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে দপ্তরের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ জানান, লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে দপ্তরের আওতাধীন এলাকায় গত ৯ মাসে চলন্ত ট্রেনে ১৫টি পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে লালমনিরহাট থেকে সান্তাহার রেল রুটে ঘটেছে ৯টি ঘটনা। এসব ঘটনায় রেলওয়ের দুজন কর্মী, যাত্রীসহ মোট চারজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়ার বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক এ প্রচার কার্যক্রমে আরও ছিলেন বিভাগীয় ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট (ডিটিএস) খালেদুন্নেছা, প্রধান রেলযান পরীক্ষক আবদুল মান্নান, লালমনিরহাট রেলওয়ে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহারুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত ডিপিও সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।