চা–বাগানে নির্মিত শ্রমিকের ঘর ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন

চা-শ্রমিকের নির্মিত পাকা ঘর ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে সমাবেশ। আজ রোববার সকালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শ্রীগোবিন্দপুর চা–বাগানে
ছবি: প্রথম আলো

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শ্রীগোবিন্দপুর চা-বাগানে এক শ্রমিকের নির্মাণ করা ঘর ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চা-বাগানের দুই শতাধিক শ্রমিক কাজে যোগদান না করে মানববন্ধনে অংশ নেন।

শ্রমিকদের অভিযোগ, চা–বাগানের শ্রমিক শ্রীজনম ভর বাগান কর্তৃপক্ষের ‘মৌখিক অনুমতি’ নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করেন। গতকাল শনিবার সকালে বাগান কর্তৃপক্ষ তাঁকে না জানিয়ে ঘরটি গুঁড়িয়ে দেয়। তবে বাগানের ব্যবস্থাপকের দাবি, চা–বাগানে ঘর নির্মাণের কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি।

সাধারণ চা–শ্রমিকদের আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নে মনু-দলই ভ্যালির কার্যকরী কমিটির সভাপতি ধনা বাউরি, সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা, মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু, নারীনেত্রী গিতা রানী কানু, গায়ত্রী রাজভর, চা–ছাত্রনেতা মোহন রবিদাস, প্রদীপ পাল, শ্রীগোবিন্দপুর চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মিলন নায়েক প্রমুখ।

কমলগঞ্জের শ্রীগোবিন্দপুর চা–বাগানের শ্রমিক শ্রীজনম ভরের নির্মিত পাকা ঘরটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মহসীন টি কোম্পানির শ্রীগোবিন্দপুর চা-বাগানের শ্রমিক শ্রীজনম ভর ব্যবস্থাপক প্রশান্ত সরকারের কাছে মৌখিকভাবে অনুমতি নিয়ে ধারদেনা করে দুই লাখ টাকা ব্যয়ে ছোট পাকা ঘরটি নির্মাণ করেছেন। কিন্তু তাঁকে না জানিয়ে বিনা নোটিশে তাঁর ঘরটি ভেঙে দেওয়া হলো।

এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তারা দ্রুত এই শ্রমিকের ঘর তৈরি ও তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান। না হলে আগামীতে আরও বড় আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

বক্তারা অভিযোগ করেন, চা–বাগানের মালিক একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি। ব্যবস্থাপক পূর্বে ঘর নির্মাণের মৌখিক নির্দেশ দিলেও এখন মালিকের ভয়ে ঘর নির্মাণে কোনো নির্দেশ দেননি বলে দাবি করছেন।

শ্রমিককে ঘর নির্মাণের কোনো মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন শ্রীগোবিন্দপুর চা–বাগানের ব্যবস্থাপক প্রশান্ত সরকার। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর (শ্রীজনম ভর) ঘরে গিয়ে আগাম বলা হয়েছে ঘর ভাঙার বিষয়টি। তা ছাড়া এটি দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে। চা-বাগানে দোকানঘর নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই।’