চার দিনেও মামলা করেনি নিহতের পরিবার, পুলিশের মামলায় আসামি ৬০০

দেলোয়ার হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আবদুল্লাহপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে দেলোয়ার হোসেন (৩৮) মারা যাওয়ার চার দিনেও তাঁর পরিবার মামলা করেনি।

তবে এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার পুলিশ বাদী হয়ে ৬০০ গ্রামবাসীকে আসামি করে মামলা করেছে। পরিবারের দাবি, দেলোয়ার পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।

দেলোয়ারের বাবা ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ‘প্রকৃত অভিযুক্তদের আসামি করে মামলা না করতে নানা দিক দিয়ে চাপ রয়েছে। এই অবস্থায় আমরা কী করব বুঝতে পারছি না।’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৮ নভেম্বর আবদুল্লাহপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন দুপুরে গোবরিয়া আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবরিয়া সরকারি প্রাথমিক কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ এনামুল হক ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইফুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এ সময় চার ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে মঙ্গলবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে দেলোয়ার মারা যান। দেলোয়ার বিদ্রোহী প্রার্থী সাইফুল ইসলামের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

ওই ঘটনায় ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা, পুলিশের কর্তব্যে বাধা ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে কুলিয়ারচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিয়াজুল মস্তুফা বাদী হয়ে ৬০০ গ্রামবাসীকে আসামি করে মামলা করেন।

কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মস্তুফা বলেন, ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ এজাহার নিয়ে আসেনি। ফলে মামলা নেওয়া যায়নি। এজাহার নিয়ে এলে মামলা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, দেলোয়ার পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন কি না, বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। পুলিশের করা মামলায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

আরও পড়ুন