চায়ের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে ছিনতাই করতেন তাঁরা: পুলিশ

দুই অটোরিকশাচালক হত্যায় জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার পাঁচজনের বিষয়ে ব্রিফিং করেন জেলা পুলিশ সুপার। আজ বুধবার রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে
প্রথম আলো

রাজবাড়ীতে পৃথক ঘটনায় ইজিবাইকের দুই চালক হত্যায় জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোম ও মঙ্গলবার ঢাকা ও পাবনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার সোয়া ১১টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. আশিক ওরফে আকাশ মাদবর (১৯), রবিন হোসেন (২২), নিজাম উদ্দিন ওরফে সালমান (৩০), আকরাম হোসেন (৩০) ও সাদ্দাম হোসেন (২৬)। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা চায়ের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে ইজিবাইকের চালকদের অচেতন করতেন। এরপর ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যেতেন।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে ২৬ জানুয়ারি ইসমাইল শেখ (৪৫) নামের এক অটোরিকশাচালককে অজ্ঞান করে অটোরিকশা ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ওই দিন রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান ইসমাইল। তিনি উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের পশ্চিম উজানচর রমজান মাতুব্বর পাড়ার বাসিন্দা।

একই দিন জেলার কালুখালী উপজেলায় রাজবাড়ী সদরের বাসিন্দা সুজন পাঠানকে (২৪) অচেতন করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তাঁকেও স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, একই কায়দায় দুজনের ইজিবাইক ছিনতাই হয়। বিষয়টি জানার পর থেকে পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করে। প্রযুক্তি ব্যবহার ও বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দুটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সালাহ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাঈন উদ্দিন চৌধুরী, পাংশা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন কুমার সাহা প্রমুখ।

নিহত ইসমাইল শেখের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বন্যা খাতুন ২৭ জানুয়ারি বলেছিলেন, ইসমাইল শেখ ২৬ জানুয়ারি বেলা তিনটার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। চারটার দিকে তাঁরা খবর পান, ইসমাইল উপজেলার সামনে মহাসড়কের পাশে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন এবং তাঁর অটোরিকশাটি নেই। দ্রুত সেখানে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ইসমাইলকে গোয়ালন্দ উপজেলার ৫০ শয্যার হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা ভালো না হওয়ায় চিকিৎসকেরা পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে ইসমাইল মারা যান।