চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের ঘরে ‘বিদ্রোহী’দের হানা

নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার শেরপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন আওয়ামী লীগের ঘরেও। এসব প্রার্থী নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরাও বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এ নিয়ে অনেকটা শঙ্কিত আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থীরাও।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী ছাড়া যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরা সবাই স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন ভবানীপুর ইউনিয়নে সাজ্জাদ হোসেন, সীমাবাড়িতে সাইফুল ইসলাম খান, সুঘাট ইউনিয়নে টি এম গফুর, বিশালপুর ইউনিয়নে জাকির হোসেন খান, এস এম রাফিউল ইসলাম ও সুধান্য চন্দ্র।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন ভবানীপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সীমাবাড়িতে বর্তমান চেয়ারম্যান গৌড়দাস রায় চৌধুরী, সুঘাট ইউনিয়নো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান ও বিশালপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি শাজাহান আলী।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা–কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন তছির উদ্দিন সরকার। তিনি ভবানীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তাঁর ছেলে সাজ্জাদ হোসেন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। দলীয় কোনো পদে না থাকলেও তিনি স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত।

সীমাবাড়ি ইউনিয়নে অন্তত দুই বছর ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে চলাফেরা সাইফুল ইসলাম খানের। তিনি এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিতেই দলের কেউ সাইফুল ইসলামকে প্রার্থী করেছেন এমন দাবি সীমাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রতন বসাকের।

উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নে দলীয়ভাবে পরিচিত টি এম গফুর। তিনিও এবারের নির্বাচনে এই ইউনিনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। টি এম গফুর প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ইউনিয়নের বাঙালি নদীর পূর্বপাড়ে চারটি ওয়ার্ড। ভোটসংখ্যা ইউনিয়নের মোট ভোটারের চেয়ে বেশি। কিন্তু এই নদীর পূর্বপাড়ে তিনিই একমাত্র চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী। চার ওয়ার্ডবাসীর সমর্থনের তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।

শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাঁরা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।