চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছেলের মৃত্যু, প্রতিদ্বন্দ্বীর ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ছেলের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলেছেন ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী। থানায় লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।
সাতবাড়িয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন শামছুন্নাহার। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। গতকাল সোমবার রাতে তাঁর ছেলে মনিরুজ্জামান মিন্টুর (৩৫) মৃত্যু হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শামছুর দফদার। তিনিও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
ঘটনার বিষয়ে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দীন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর কারণ জানা গেলে সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামছুন্নাহারের মেজ ছেলে মনিরুজ্জামান মিন্টু গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাতবাড়িয়া বাজারের একটি চায়ের দোকানের সামনে যান। সেখানে হাজির হন বিদ্রোহী প্রার্থী শামছুর দফাদারের ছেলে আমজাদ হোসেন ও তাঁর সহযোগী আলমগীর হোসেন, বাবলু, আলী দফাদার, জাকির হোসেন। তাঁরা ভোট থেকে শামছুন্নাহারকে সরে দাঁড়ানোর জন্য ছেলের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। একপর্যায়ে মারধর করেন এবং গলা চেপে ধরেন। পরে তাঁকে আহত অবস্থায় কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগটি দিয়েছেন শামছুন্নাহারের ভাই মশিয়ার দফাদার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাগনের মারপিটের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ হওয়ায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে সবকিছু জানা যাবে।
এ ব্যাপারে বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শামছুর দফাদার বলেন, সাতবাড়িয়া বাজারে কোনো মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। তাঁকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে নিছক একটি অভিযোগ করা হয়েছে। তাঁর দাবি, হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মনিরুজ্জামানের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগমী ৫ জানুয়ারি কেশবপুরে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।