মেহেরপুরে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ১০ জন। আজ রোববার বেলা দুইটায় গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে যুবলীগ কর্মী মহিবুল ইসলামকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা হাসপাতালে না গিয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দা হাকিম শেখ বলেন, চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নেতা-কর্মী সূত্রে জানা যায়, মেহেরপুর-২ আসনের সাংসদ ও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে সম্মেলন শুরু হয়। উপজেলার নানা প্রান্ত থেকে একের পর এক ছোট-বড় মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা সম্মেলন যোগ দেন। এতে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই সম্মেলন হয়। উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস এম নাজমুল হকের নেতৃত্বে একটি মিছিল মঞ্চের পাশে আসে। মিছিলে থাকা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সাংসদ সাহিদুজ্জামানের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সামনের চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এতে যুবলীগের কর্মী মহিবুল ইসলামের মাথা ফেটে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এ সময় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সমাবেশে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। এ কারণে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছিল। পরে পুলিশ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গাংনী পৌর মেয়র আহাম্মদ আলী, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিরুল ইসলাম, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ প্রমুখ।