চৌমুহনীতে মন্দিরে হামলা ও দুজন নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ৫
নোয়াখালীর চৌমুহনীতে গত শুক্রবার হিন্দুদের মন্দির, দোকানপাট, বাসাবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ এবং দুই ইসকন ভক্ত নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হলো ৫৩ জন। আজ সোমবার বিকেলে চৌমুহনী পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিজানুর রহমান পাঠান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে মন্দির, দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেছে। এ ছাড়া মন্দির ভাঙচুর ও দুই ইসকন ভক্তকে হত্যার ঘটনায় ইসকনের অধ্যক্ষ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এসব মামলায় ১৭৫ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। আর অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৩ হাজার ১০০ জনকে। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চৌমুহনীতে মন্দির, দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেছে। এ ছাড়া মন্দির ভাঙচুর ও দুই ইসকন ভক্তকে হত্যার ঘটনায় ইসকনের অধ্যক্ষ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিদল আজ চৌমুহনীর ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির ও পূজামণ্ডপগুলো পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তাঁরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেন। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহযোগিতা ও সুষ্ঠু বিচার পেতে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন তাঁরা। পরে তাঁরা চৌমুহনীসহ নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে মন্দির, পূজামণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, সহিংসতা ও হতাহতের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আজ বিকেলে চৌমুহনী প্রেসক্লাব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. রহমত উল্যাহ, সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, টেলিভিশন, প্রিন্ট ও ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক শফিউল আলম ভূঁইয়া, প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসসহ অন্যা শিক্ষক নেতারা।
অপর দিকে দুর্গাপূজার সময় সারা দেশের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় নোয়াখালীর মাইজদী টাউন হল মোড়ে মানববন্ধন করেছে শ্রীশ্রী দুর্গাপূজা মণ্ডপ সমন্বয় পরিষদের নেতারা। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মিথুন ভট্ট, বাসদের সভাপতি তারকেশ্বর নান্টুর নেতৃত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। প্রতিবাদ সভা থেকে বক্তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি এবং এমন ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার দাবি করেন।