‘ছাত্রলীগ কর্মী’ পরিচয় দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে তর্ক, ২ মাসের কারাদণ্ড
সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সড়কে অভিযান চলছিল। অভিযানের সময় রেজিস্ট্রেশনবিহীন একটি মোটরসাইকেল অবৈধভাবে পার্ক করেন এক তরুণ। মোটরসাইকেলটি আটকানো হলে ওই তরুণ নিজেকে ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয় দিয়ে উল্টো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে তিনি ফোন করে আরেক ছাত্রলীগ কর্মীকে ঘটনাস্থলে ডেকে এনে দুজনে মিলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে তর্ক শুরু করেন।
পরে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে ওই দুই তরুণকে আটক করে দুই মাসের বিনা শ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াটার দিকে সিলেট নগরীর আম্বরখানা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হচ্ছেন মাজেদ আহমদ (২৭) ও তারেক আহমদ (৩০)। তাঁরা দুজনই সিলেট নগরীর মিরাবাজার এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে ওই দুই তরুণকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমান খান এ আদালত পরিচালনা করেন।
সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল আলীম শাহ প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুই তরুণকে আটক করার পর তাঁরা রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে চড়াও হন। ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে তর্ক করার সময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে তাঁরা পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি করেন। তখন দুজনকে আটক করে নগর ভবনে নিয়ে আসা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দণ্ড দেওয়ার পর দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মাজেদ ও তারেক নিজেদের মহানগর ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয় দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ দাবি করেন, তিনি ওই দুই তরুণকে চেনেন না। তিনি বলেন, ‘এই নামে ছাত্রলীগের কোনো কর্মীকে চিনি না। যেহেতু দুজন অপরাধ করেছেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাঁদের অপরাধ প্রমাণও হয়েছে। সুতরাং ছাত্রলীগ তাঁদের দায় নেবে না।’