ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা, আহত ২ যুবক হাসপাতালে

ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক সুমন মিয়া
ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এতে গুরুতর আহত হয়ে অপর দুই যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের উত্তর আলগী মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। পূর্বশত্রুতার কারণে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

নিহত যুবকের নাম সুমন মিয়া (৩৩)। তিনি মনোহরদীর সৈয়দের গাঁও এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। আহত দুই যুবক হলেন রায়হান ও মাহফুজ। উপজেলার আলগী গ্রামের মো. ইমরান (৩২) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

নিহত যুবকের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একই সঙ্গে চলাফেরার সূত্রে ধরে সুমন মিয়া, রায়হান ও মাহফুজ তিন বন্ধু। গতকাল বিকেলে তিন বন্ধু মিলে একটি মোটরসাইকেলে করে রায়হানের শ্বশুরবাড়ি হাতিরদিয়া এলাকায় যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলটি উত্তর আলগী মোড় এলাকায় পৌঁছার পর মো. ইমরানের মোটরসাইকেলের সঙ্গে তাঁরা মুখোমুখি হন। ইমরানের সঙ্গে মোটরসাইকেলে ছিলেন তাঁর বড় ভাই সুমন ও বন্ধু জাহাঙ্গীর। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ ইমরান তাঁর সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে তিনজনকে কোপাতে থাকেন। পরে ইমরান, সুমন ও জাহাঙ্গীর মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে সুমন মিয়া, রায়হান ও মাহফুজকে উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমন মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। রায়হান ও মাহফুজকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত সুমন মিয়ার বড় ভাই মোবারক হোসেন বলেন, স্থানীয় বাজারে সাউন্ড বক্স ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা করেন রায়হান। তাঁর সঙ্গে ইমরানের টাকা লেনদেন নিয়ে সমস্যা থাকতে পারে। এই শত্রুতা থেকে রায়হানকে ছুরিকাঘাত করতে চান ইমরান। এ সময় সুমন ও মাহফুজ তাঁকে বাধা দিতে গেলে রায়হানসহ তিনজনের ওপর ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন ইমরান। হাসপাতাল নেওয়ার পথে সুমন মারা যান।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিচুর রহমান বলেন, নিহত সুমনের বড় ভাই মোবারক হোসেন বাদী হয়ে ইমরান, তাঁর বড় ভাই সুমন ও বন্ধু জাহাঙ্গীরকে আসামি গতকাল রাতেই মামলা করেছেন। আজ দুপুরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সুমনের লাশ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিন আসামি পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।