নূরের গাড়িবহরে হামলা
ছয় বছরেও বিচারকাজ শুরু হয়নি মামলার
নীলফামারীর রামগঞ্জ বাজারে হামলা হয়। মামলায় ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
হামলার অভিযোগ ওঠে জামায়াত-বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।
২০১৫ সালে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
নীলফামারীতে সাংসদ আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের চার নেতা-কর্মী হত্যার ঘটনার আট বছর পেরিয়ে গেলেও বিচারকাজ শুরু হয়নি। ঘটনার দুই বছর পর ২০১৫ সালে মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর ছয় বছর কেটে গেলেও অভিযোগ গঠন হয়নি।
মামলার বাদী নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আকতার বর্তমানে চট্টগ্রামে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মরত। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর সাংসদের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ ওঠে জামায়াত-বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এতে সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়া ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় প্রায় দেড় হাজার ব্যক্তিকে।
বাবুল আকতার বলেন, মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১১ মার্চ ২০৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও তৎকালীন সদর থানার উপপরিদর্শক মোস্তাফিজার রহমান।
নীলফামারী জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আজিজুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চার্জ গঠনের অপেক্ষায় আছে। আদালতের বিচারক অসুস্থ থাকায় বিচারকাজের অগ্রগতি হয়নি। ২০৬ জন আসামির মধ্যে দুজন মারা গেছেন। বাকিরা জামিনে আছেন।
নীলফামারী জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অক্ষয় কুমার রায় বলেন, মামলাটি এখন জেলা জজ আদালতে স্থানান্তরের জন্য আবেদন করা হবে।
২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার রাতে সদরের লক্ষ্মীচাপ ও পলাশবাড়ি গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনা ঘটে। ১৪ ডিসেম্বর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর। এসব তথ্য উল্লেখ করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, পরিদর্শন শেষে জেলা শহরে ফেরার পথে টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ বাজারে জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন সাংসদ।
গতকাল সোমবার সাংসদ আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে খুদে বার্তায় জানান।