জগন্নাথপুরে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে শনাক্ত ও মৃত্যু

করোনাভাইরাসের প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি ও এই ভাইরাসে মৃত ব্যক্তির সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। গত এক মাসে করোনায় সংক্রমিত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে কমপক্ষে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার পাওয়া নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে উপজেলার ২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা ২৪ ঘণ্টার হিসাবে এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১২ এপ্রিল থেকে জগন্নাথপুরে অব্যাহতভাবে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। ১২ এপ্রিল থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত উপজেলায় ৩৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৭০ জন। বর্তমানে ৬০ জন বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে ও ৭ জন হাসপাতাল ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

করোনায় সংক্রমিত হয়ে গত ৪ জুন মারা যান উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের আটঘর গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিতু খান (৩৬)। এরপর ২৪ জুন তাঁর মা হায়ারুনেছা (৬৫) ও ২৩ জুন একই গ্রামের নুর উদ্দিন (৬৫) করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান। করোনায় সংক্রমিত হয়ে ২ জুলাই মারা যান উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের বাসিন্দা আওয়ামী লীগের নেতা খসরু মিয়া। করোনা সংক্রমিত হয়ে ৫ জুলাই মারা যান পৌর শহরের হবিবপুর গ্রামের আবু বক্কর (৪৬)। এ ছাড়া ৬ জুলাই যাত্রাপাশা গ্রামের নির্মলা রানী গোপ (৬২) ও ৭ জুলাই বাউধরন গ্রামের জব্বার মিয়া (৬৫) করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান।

জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মধুসূদন ধর বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন চিকিৎসকও করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। উপজেলার গ্রামেগঞ্জেও এখন অনেকে করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন। করোনায় সংক্রমিত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। এ অবস্থায় সবার সচেতন হওয়া ছাড়া উপায় নেই।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহ প্রথম আলোকে বলেন, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন মাঠপর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই কেবল সবাই এই মহামারি থেকে রক্ষা পেতে পারে।