সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মুঠোফোনের দরদাম করা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে মতিন মিয়া (১৭) নামের এক স্কুলছাত্রকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পৌর শহরের মোবাইল মার্কেটে এ ঘটনা ঘটেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ছাত্রকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত মতিন মিয়া জগন্নাথপুর এলাকার বাসিন্দা রজব আলীর ছেলে। সে স্বরূপ চন্দ্র সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে শহরের পৌর পয়েন্ট এলাকার মোবাইল মার্কেটে ‘মোবাইল বাজার’ নামের একটি ফোনের দোকানে মুঠোফোন কিনতে গিয়েছিল মতিন। এ সময় মুঠোফোনের দরদাম নিয়ে দোকানি কামরান আহমদের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দোকানদার কামরান ক্রুদ্ধ হয়ে দোকানে থাকা ধারালো অ্যান্টিকাটার ছুরি দিয়ে মতিনের পেটে ও ডান হাতে আঘাত করে রক্তাক্ত করেন। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মতিনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ ঘটনায় পরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দোকানদার কামরান ক্রুদ্ধ হয়ে দোকানে থাকা ধারালো অ্যান্টিকাটার ছুরি দিয়ে মতিনের পেটে ও ডান হাতে আঘাত করে রক্তাক্ত করেন।
দোকানি কামরান আহমদ শহরের ইকড়ছই এলাকার মৃত কনাই মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক সুপ্রিয়া রানী রায় জানান, স্কুলছাত্রের পেটে ও ডান হাতের ওপরের অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তাঁরা তাঁকে চিকিৎসা দিয়েছেন।
জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপঙ্কর দে বেলা দেড়টার দিকে প্রথম আলোকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মুঠোফোনের দরদাম নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে রক্তাক্ত করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছেন তিনি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি।