জঘন্য কাজের সময় আসামিরা মানুষের পর্যায়ে ছিলেন কি না, প্রশ্ন আদালতের

আদালত
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় নারীকে (৩৭) বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা ও নির্যাতনের মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলুসহ অভিযোগপত্রভুক্ত ১৩ আসামির সবাইকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ দুপুরে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) জয়নাল আবেদীন এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, এ মামলার আসামি নুর হোসেন ওরফে বাদল, আবদুর রহিম ওরফে রহিম ও সামছুদ্দিন ওরফে সুমন যে জঘন্য কাজ করেছেন, ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ভিকটিমের সঙ্গে যেসব আচরণ করেছেন, তাতে তখন তাঁরা মানুষের পর্যায়ে ছিলেন কি না, প্রশ্ন জাগে। তাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯–এর ৪(খ) ধারা অনুযায়ী ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নুর হোসেন বাদল, আবদুর রহিম ও সামছুদ্দিন ওরফে সুমনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

আরও পড়ুন

আদালত আরও বলেন, আসামি মোহাম্মদ আলী, ইস্রাফিল হোসেন, মাঈন উদ্দিন, আবদুর রব, মোস্তাফিজুর রহমান, জামাল উদ্দিন, নুর হোসেন, মিজানুর রহমান, আনোয়ার হোসেন ও দেলোয়ার হোসেনকে (দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান) ধর্ষণচেষ্টার কাজে সহায়তার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাই সবাইকে একই আইনের ৯–এর ৪(খ) ৩০ ধারায় ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হলো।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেনসহ ১৪-১৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত জোরপূর্বক গৃহবধূর ঘরে ঢোকেন। তাঁরা ঘরে থাকা নারী ও স্বামীকে মারধর, নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা এবং পুরো ঘটনাটি ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখেন। ওই ঘটনার পর দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা ওই নারীকে পুনরায় অনৈতিক প্রস্তাব দেন। তাঁদের প্রস্তাবে ওই নারী রাজি না হওয়ায় নির্যাতনের ৩২ দিন পর গত বছরের ৪ অক্টোবর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ভিডিও চিত্রটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। নির্যাতনের ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে গত বছরের ৪ অক্টোবর রাতে দেলোয়ার বাহিনীর ৯‍ সদস্যের নাম উল্লেখ করে বেগমগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।

আরও পড়ুন