জমির ক্ষতিপূরণ না দিয়ে বিদ্যুতের টাওয়ার নির্মাণের অভিযোগ
বগুড়ার শেরপুরে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের টাওয়ার নির্মাণের কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা এ অভিযোগ করেছেন।
এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। এতে বলা হয়, ‘বড় পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি লাইন প্রকল্প’-এর আওতায় সরকার ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ১২০ কিলোমিটার ডাবল সার্কিট উচ্চ ভোল্টেজের সঞ্চালন লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে পিজিসিবি শেরপুর উপজেলার উচরং গ্রামেও টাওয়ার নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।
এ বিষয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, জমির মালিকেরা ফসল ও গাছপালার ক্ষতিপূরণ পেলেও জমির ক্ষতিপূরণ পাবেন না। এ ক্ষেত্রে ১৮৮৫ সালের টেলিগ্রাফ আইন ও ১৯১০ সালের বিদ্যুৎ আইনের উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের মাধ্যমে ১৯১০ সালের বিদ্যুৎ আইন রোহিত করা হয়েছে। নতুন বিদ্যুৎ আইনের ১২ (১) অনুচ্ছেদে জমির মালিককে ক্ষতিপূরণ প্রদানের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। এভাবে আইনের তোয়াক্কা না করে জমি জবরদখল করা হচ্ছে বলে তাঁরা দাবি করেন।
ক্ষতিপূরণ না দিয়ে জমিতে জোরপূর্বক নির্মাণকাজ করা হচ্ছে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, টাওয়ার নির্মাণের জন্য মালামাল মজুত ও পরিবহনের জন্য প্রায় ৪০ বিঘা আবাদি জমি ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু জমির কোনো মালিক এখন পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাননি। এ ক্ষতিপূরণ কখনোই পাবেন না বলে তাঁদের আশঙ্কা। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য তাঁরা ৫ এপ্রিল শেরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বগুড়া জেলার ডিসির কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছেন।
শেরপুরের ইউএনও ময়নুল ইসলাম বলেন, স্মারকলিপির অনুলিপি পেয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।