থানা–পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শফিকুল পেশায় ইজিবাইকচালক। সম্প্রতি তিনি ইজিবাইকটি বিক্রি করে দেন। এর পর থেকে কোনো কাজকর্মে যাচ্ছিলেন না। ইজিবাইক বিক্রির টাকা শফিকুল তাঁর স্ত্রীর কাছে রেখেছিলেন। প্রায়ই ওই টাকা নিয়ে খরচ করতেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে স্ত্রীর কাছে টাকা চান শফিকুল। কিন্তু জোলেখা টাকা দিতে রাজি হননি। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে শফিকুল ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি জোলেখার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপান। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন শফিকুলকে আটক করেন।
স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
জামালপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নিহত জোলেখা বেগমের বাবা আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলার আসামি শফিকুল ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।