জীবনে আদর্শ থেকে কখনই বিচ্যুত হওয়া যাবে না: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ‘মানুষের জন্য কিছু করতে হলে আমাদের প্রত্যেককে আদর্শ জীবন গড়ে তুলতে হবে। আদর্শবান মানুষের জীবনদর্শন অনুসরণ করতে হবে। তাঁদের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের জীবন সাজাতে হবে। জীবনে আদর্শ থেকে কখনই বিচ্যুত হওয়া যাবে না। আদর্শবানকেই মানুষ মনে রাখে, শ্রদ্ধা করে।’
মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বঙ্গবন্ধুর সহচর, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সাংসদ আজিজুর রহমানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্মরণসভা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রী প্রয়াত আজিজুর রহমানের কবর জিয়ারত ও কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের গুজারাই গ্রামে নিজ বাড়িতে স্মরণসভার আয়োজন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান ফাউন্ডেশন।
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার জামাল উদ্দিন। সভায় বক্তৃতা করেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সাংসদ নেছার আহমদ, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন।
জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুর রহমান, লেখক মো. আবদুল খালিক, রাজনগরের মনসুরনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিলন বখত প্রমুখ।
আজিজুর রহমানের জীবনদর্শন থেকে অর্জিত শিক্ষা নিজের জীবনে কাজে লাগিয়ে এত দূর এসেছেন বলে উল্লেখ করেন পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন। তিনি আরও বলেন, আজিজুর রহমান ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন একনিষ্ঠ অনুসারী। সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন তিনি। বর্তমান প্রজন্মকে তাঁর মতো নিরহংকার ও সৎ জীবন গড়তে হবে।
আজিজুর রহমান গত বছরের ১৮ আগস্ট করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
স্মরণসভা অনুষ্ঠানে ছয়জন শিক্ষার্থীকে পাঁচ হাজার টাকা করে এককালীন শিক্ষাবৃত্তি ও ১০০ দরিদ্র মানুষকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে।