ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলামকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ আনিসুজ্জামান জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি কোর্ট পরিদর্শক আবদুস সাত্তার।
এর আগে গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিএনপি নেতা ব্যবসায়ী রফিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আইনজীবী শাহাদাৎ হোসেন বলেন, রফিকুল তাঁর ভাইয়ের অসুস্থতার খবর শুনে সম্প্রতি আমেরিকায় যান। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় কাতার এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরার পর তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শাহাদাৎ হোসেন আরও জানান, সম্প্রতি ফেসবুকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন রফিকুল। পরে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে এনে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে গত ৭ জুলাই রাতে রাজাপুর শহর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. সাব্বির খান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। তিনি অবিলম্বে এ মিথ্যা মামলা থেকে তাঁর মুক্তির দাবি জানান।
রাজাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অনিমেষ মণ্ডল বলেন, বিএনপি নেতা রফিকুল তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে গত ৪ জুলাই রাত ১০টা ৩১ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের জড়িয়ে একটি পোস্ট দেন। এতে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও প্রধানমন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ণ করা হয়। তাই তাঁর বিরুদ্ধে বাদী ওই মামলা করেন।
এদিকে বিএনপি নেতা রফিকুলকে ঢাকা থেকে ঝালকাঠিতে নিয়ে আসার খবর শুনে আদালতপাড়ায় বিএনপি নেতা–কর্মীরা ভিড় করেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অদালতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দুপুরে আদালতের কাঠগড়ায় তাঁকে হাজির করলে বিএনপিপন্থী ৪০ জন আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন করে শুনানিতে অংশ নেন। পরে আদালত তাঁর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।