করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলে গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪২ দশমিক ৪৭। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫১। এর মধ্যে ৫ হাজার ১৫ জন, অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক শনাক্ত হয়েছে গত ১ জুন থেকে আজ ১০ জুলাই পর্যন্ত ৪০ দিনে। চলতি জুলাই মাসের ১০ দিনে শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৩৪৪ জন। জুনের ৩০ দিনে শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৬৭১ জন।

এদিকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন চিকিৎসকসহ ছয়জন, উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে আজ এসব তথ্য জানা গেছে।

যে চিকিৎসক মারা গেছেন, তাঁর নাম মাজেদ আলী মিয়া (৫৮)। তিনি মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিলেন। তাঁর পারিবারিক সূত্র জানায়, ১ জুলাই মাজেদ আলী, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের করোনা শনাক্ত হয়। অবস্থার অবনতি হলে মাজেদ আলী ও তাঁর স্ত্রীকে ৬ জুলাই টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে মাজেদ আলীর মৃত্যু হয়।

চলতি জুলাই মাসের ১০ দিনে শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৩৪৪ জন। জুনের ৩০ দিনে শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৬৭১ জন।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১ থেকে ১০ জুলাই, ১০ দিনে এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে করোনা শনাক্ত হয়ে ৪১, উপসর্গ নিয়ে ৩৮ জনসহ মোট ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত ৫৬ এবং উপসর্গ নিয়ে ৮৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গত বছরের ৮ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ওই বছর জুলাই পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। পরে আগস্ট থেকে আক্রান্তের হার কমতে শুরু করে। এ বছর জুন থেকে আবার সংক্রমণ বাড়তে থাকে। গত ১২ জুন থেকে শনাক্ত ৩০ শতাংশের ওপরে রয়েছে।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বলেন, এক মাস ধরে জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।