টানা বৃষ্টিতে চাঁদপুরের সড়কে সড়কে জলাবদ্ধতা
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে গতকাল শনিবার রাত পর্যন্ত কয়েক দফা বৃষ্টিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চাঁদপুরে শনিবার সর্বোচ্চ ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোড, বঙ্গবন্ধু সড়ক, চেয়ারম্যান ঘাটা, জিটি রোড, ষোলঘর পাকা মসজিদ, নাজির পাড়া, বকাউল বাড়ি রোড, কোড়ালিয়া, মমিনপাড়া, প্রফেসরপাড়া, পালপাড়া নিউ ট্রাক রোড, দক্ষিণ গুনরাজদী, রহমতপুর কলোনী, মধ্য ইচলিসহ শহরের বিভিন্ন সড়ক বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙা ও গর্ত থাকায় সড়কে চলাচলকারী লোকজন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বলে জানা গেছে।
প্রফেসরপাড়ার বাসিন্দা লিটন বলেন, রাস্তা অনেক জায়গায় ভেঙে গেছে। মোটরসাইকেল আর রিকশার যাত্রীরা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বৃষ্টির পানি নামার যেসব জায়গা ছিল, সেগুলো লোকজন বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলেছেন। পৌরসভার নর্দমাগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে।
শহরের নাজিরপাড়া, রহমতপুর এলাকাসহ অন্যান্য এলাকা ঘুরেও একই চিত্র দেখা গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পুরো সড়কে পানি জমে বলে অভিযোগ করেন এসব এলাকার বাসিন্দারা।
পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আমরা বসতে পারছি নাফরিদা ইলিয়াস, প্যানেল মেয়র, চাঁদপুর পৌরসভা
শহরের দক্ষিণ গুনরাজদী এলাকার মাছচাষি আবদুল মালেক ভূঁইয়া জানান, দুদিনের টানা বৃষ্টিতে তাঁর মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ায় বেশির ভাগ মাছের পোনা ভেসে গেছে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেখানে এখন পর্যন্ত কোনো পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা তৈরি হয়নি। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস বলেন, ‘পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত এসব এলাকার ড্রেন পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করছি। এরপরও ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে কিছু এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ার অভিযোগ পেয়ে কাউন্সিলররা এসব এলাকা ঘুরে দেখেছেন। পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আমরা বসতে পারছি না।’