টেকনাফে পাহাড় ধসে একজনের মৃত্যু
কক্সবাজার টেকনাফে পাহাড় ধসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত ও পূর্ণিমার জোয়ারে একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বহু মানুষ।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম রকিম আলী (৬৫)। তিনি উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনির ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মনির ঘোনা গ্রামের পাহাড় ধসে এ ঘটনা ঘটে। এ তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী।
ইউএনও পারভেজ চৌধুরী বলেন, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেলে সাড়ে চারটা পর্যন্ত টানা ভারী বৃষ্টিপাত, পূর্ণিমার জোয়ারের পানির সঙ্গে পাহাড়ি ঢলের কারণে টেকনাফ পৌরসভা, সদর, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বিভিন্ন গ্রামের বসতঘর, স্কুল-মাদ্রাসা-কলেজ, রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। টেকনাফ- কক্সবাজার আঞ্চলিক সড়কের (হ্নীলার রঙ্গিখালী-আলীখালী) ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ।
হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, সোমবার রাত থেকে টেকনাফসহ বিভিন্ন অঞ্চলে টানা বৃষ্টি হচ্ছিল। এ অবস্থায় পাহাড় ধসের আশঙ্কায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে থাকা লোকজনকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়। এর মধ্যে উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে। মনির ঘোনা গ্রামের পাহাড়ের নিচে বসবাসরত রকিম আলীসহ তাঁর পরিবারের লোকজন বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ ওপর থেকে পাহাড়ের অংশবিশেষ তাঁর বাড়ির ওপর পড়লে মাটির ঘরের দেয়াল চাপা পড়ে রকিম আলী গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে উখিয়াল বালুখালী তুর্কি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হ্নীলা ইউপির চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, টানা বৃষ্টি, পূর্ণিমার জোয়ার ও পাহাড়ি ঢলের কারণে হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী, রঙ্গিখালী, লামারপাড়া, ওয়াব্রাং, চৌধুরীপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় আড়াই হাজারের বেশি বাড়িঘর তলিয়ে গেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব পরিবারের খাদ্যসামগ্রী পানিতে ভেসে গেছে। শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। নাফ নদীর বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানিতে ডুবে আছে টেকনাফ-কক্সবাজার আঞ্চলিক সড়কটি ।
জানতে চাইলে ইউএনও পারভেজ চৌধুরী বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে কিছু ঘরবাড়ি ভেঙে গেলেও নিহত হয়েছেন রকিম আলী নামের একজন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে লাশ দাফনের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।