বগুড়া শহরের আড়তে মাছ খালাস করে খালি ট্রাক নিয়ে নাটোরে ফিরছিলেন চালক। ক্লান্ত থাকায় চালকের চোখে ছিল ঘুম। একপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশার ওপর উঠে পড়ে। ঘটনাস্থলে নিহত হন অটোরিকশার দুই যাত্রী। আহত হন তিনজন।
বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের নন্দীগ্রাম উপজেলার ওমরপুর বাসস্ট্যান্ডে আজ সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর ট্রাক ফেলে পালিয়েছেন চালক ও তাঁর সহকারী।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন অটোরিকশার যাত্রী নন্দীগ্রাম উপজেলার কুস্তা গ্রামের আবদুল খালেক (৫৫) ও নাটোরের সিংড়া উপজেলার কাইশতা গ্রামের বাবলু মিয়া (৫০)। আবদুল খালেক রনবাঘা উচ্চবিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী পদে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নাটোর থেকে ভোররাতে মাছবাহী ট্রাক বগুড়ার আড়তে আসে। মাছ খালাসের পর ট্রাকটি সকালে নাটোরে ফিরছিল। পথিমধ্যে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের ওমরপুর এলাকায় পৌঁছানোর পর ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশার ওপর উঠিয়ে দেন। অটোরিকশায় চালকসহ পাঁচজন ছিলেন। এর মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত তিনজনকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে হাইওয়ে পুলিশের কুন্দারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর চালক ও তাঁর সহকারীকে আটক করা হয়েছিল। তখন ওই দুজন স্বীকার করেন, তাঁরা ক্লান্ত ছিলেন। ঘুমিয়ে পড়ার কারণে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে চালক ও তাঁর সহকারী সেখান থেকে পালিয়ে যান।
ওসি শহিদুল ইসলাম আজ দুপুরে বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। নিহত দুজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।