ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা, পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ

ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। গতকাল শনিবার রাতে ঘোষণার পর কমিটিতে জায়গা না পাওয়া নেতারা বিক্ষোভ করেছেন।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের স্বাক্ষর করা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির তথ্য জানানো হয়। কমিটিতে আজহারুল ইসলামকে সভাপতি ও হিমুন সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

নেতা-কর্মীরা বলেন, ২০১৫ সালের ১৯ জুলাই ১ বছর মেয়াদে মাহাবুব হোসেনকে সভাপতি ও সানোয়ার পারভেজকে সাধারণ সম্পাদক করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। পরে ২০১৬ সালের ১০ মে জেলা ছাত্রলীগের ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন পায়।

মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় গত ১৮ জুন জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সেই সঙ্গে নতুন কমিটিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী নেতাদের আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে সরাসরি বা ডাকযোগে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। পরে শনিবার রাতে আংশিক কমিটি ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।

ঘোষিত ওই কমিটিতে সহসভাপতি হয়েছেন সঞ্জয় কুমার, আখতারুজ্জামান, মেসবাহুল ফেরদৌস, এস এম মোহাইমিনুল, শাহাজালাল জনি, জি এম সুফি নিয়াজী, আনোয়ার আসাদ, লুৎফর রহমান, সৃজন গুহঠাকুরতা, তানভীর আলী, তাসফিরুল রহমান ও সোহেল রানা। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন সাদিউল হাবীব সাদি, মাহবুব হোসেন, অনুপ দত্ত, সাব্বির ইসলাম, এন এ নিউমুন ও আরাফাত হোসেন। অন্যদিকে সৈয়দ আলী নোমান, মিল্টন খন্দকার, সি এম হৃদয়, মর্জিনা আক্তার, মাহাবুব হাসান মেহেদি, বদিউজ্জামান বাবলু, অমৃত মোদক, মো.আসাদুজ্জোহা ও ফয়সাল সাদেককে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে।

নতুন কমিটি গঠনের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শনিবার রাতেই শহরের চৌরাস্তায় জড়ো হন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাত ১২টার দিকে সেখানে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। সে সময় তাঁরা ‘বিতর্কিতদের কমিটি, মানি না, মানব না’, ‘অবৈধ পকেট কমিটি, মানি না, মানব না’, ‘প্রহসনের কমিটি, মানি না, মানব না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীরা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। পরে রাত একটার দিকে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।

কমিটির সভাপতিপ্রত্যাশী ছিলেন বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গনি। ঘোষিত কমিটি নিয়ে তিনি বলেন, যাঁরা দলের জন্য, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ঘাম ঝরিয়েছেন, তাঁদের এই কমিটিতে অবজ্ঞা করা হয়েছে। শহরে ছাত্রলীগের অবস্থান দুর্বল করতে এই ষড়যন্ত্র। বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন না করা পর্যন্ত তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মু. সাদেক কুরাইশী বলেন, বড় সংগঠন হওয়ায় পদ পাওয়ার তালিকাটাও দীর্ঘ ছিল। তাই এ রকম কিছু ক্ষোভ থাকবে। সবাইকে নিয়েই সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালাতে তাঁরা নতুন কমিটিকে নির্দেশনা দিয়েছেন।