ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি, হামলায় আহত ৩
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে কক্সবাজারগামী একটি মাইক্রোবাস ও পিকআপ ভ্যানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশের শহীদনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাত দলের হামলায় মাইক্রোবাসের যাত্রী ঢাকার খিলক্ষেতের ব্যবসায়ী আবদুল বাতেন (৬৪), কামাল হোসেন (৫০) ও পিকআপ ভ্যানের চালক জীবন মিয়া (১৯) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ব্যবসায়ী সাইফুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তিনিসহ খিলক্ষেত এলাকার ৯ ব্যবসায়ী গতকাল রাতে একটি মাইক্রোবাসে কক্সবাজার উদ্দেশে রওনা দেন। মাইক্রোবাসটি রাত পৌনে দুইটার দিকে দাউদকান্দির শহীদনগরে পৌঁছালে ১০ থেকে ১২ জনের কিশোর ডাকাত দল মহাসড়কে গাছ ফেলে গতিরোধ করে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা লাঠি, ছুরি, চাপাতি, দা ও করাত নিয়ে তাঁদের গাড়িতে হামলা চালায়। এরপর তাঁদের কাছ থেকে টাকা, মুঠোফোনসহ মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরে অন্য যানবাহনের চালকেরা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তবে আহত ব্যক্তিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। পরে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছের গুঁড়ি সরানোর পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নওরীন সুজানা বলেন, আহত ব্যক্তিদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ডাকাতির ঘটনার পর দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল হক, দাউদকান্দি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম এবং কুমিল্লার গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ডাকাতদের কেটে ফেলা মহাসড়কের পাশের রেইনট্রি গাছটিও তাঁরা দেখেছেন।
ডাকাতির বিষয়ে জানতে ঘটনাস্থলে হাইওয়ে থানার ওসি জহুরুল হকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মী তাঁর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি বলে জানা গেছে।