ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ি চলছে ধীরগতিতে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাওয়ার জন্য খোদেজা বেগম ভোরে ঢাকা থেকে বাসে ওঠেন। ১০ ঘণ্টা পর তাঁদের বাস টাঙ্গাইল শহর বাইপাস পর্যন্ত আসে। পথে বিভিন্ন স্থানে যানজটে আটকা পড়ে থাকতে হয়। টাঙ্গাইল আসার পর বাইপাস সড়কের শিবপুর এলাকায় বাসটি যানজটে আবার আটকা পড়ে। এক ঘণ্টা ধরে গরমে বাসের মধ্যে বসে থাকতে থাকতে মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন খোদেজা বেগম।
বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট ছিল। আর এতে শুধু খোদেজা বেগম নন, তাঁর মতো ঈদে ঘরমুখী হাজার হাজার মানুষ ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজটে আটকা পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে দুর্ভোগ পোহান।
তবে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে মহাসড়কে দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক মোশারফ হোসেন জানান, টাঙ্গাইল বাইপাস ও করটিয়ার দিকে দুপুরে যানজট ছিল। এরপর থেকে গাড়ি বঙ্গবন্ধু সেতুর দিকে চলতে শুরু করে। এমন চলতে থাকলে সন্ধ্যার আগেই যানজট দূর হতে পারে।
অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে গতকাল মধ্যরাত থেকে এই মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। সিরাজগঞ্জের দিকে প্রথমে যানজট তৈরি হয়ে তা বাড়তে বাড়তে সেতু অতিক্রম করে মধ্যরাতে পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত (টাঙ্গাইল অংশে) চলে আসে। ভোরের দিকে এই যানজট সেতু থেকে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
বেলা দেড়টার দিকে টাঙ্গাইল শহর বাইপাস সড়ক এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শত শত যানবাহন রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ট্রাকচালক মজনু মিয়া জানান, রাত ৩টার দিকে গাজীপুর থেকে রওনা হয়ে ১০ ঘণ্টায় টাঙ্গাইল পর্যন্ত আসেন। চলতি পথে টানা ১০ মিনিটও তিনি ট্রাকটি চালাতে পারেননি। একটু এগিয়েই যানজটে পড়তে হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা সূত্রে জানা যায়, স্বাভাবিক অবস্থায় সেতু দিয়ে ১২-১৩ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। কিন্তু সোমবার থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৪২৩টি যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে।