ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে নির্বিঘ্ন যান চলাচল
এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ভালোই সামাল দিচ্ছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক। মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই থেকে জামুর্কী পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার এলাকায় নির্বিঘ্নে যানবাহন চলছে। কয়েক দিন ধরে রাস্তায় যানবাহনের চাপ থাকলেও কোনো জট লাগেনি। বিশেষ করে গত ২৫ এপ্রিল গোড়াই উড়ালসড়ক ঈদ উপলক্ষে খুলে দেওয়ায় স্বচ্ছন্দভাবে যানবাহন চলাচল করতে পারছে।
আজ রোববার মহাসড়কের মির্জাপুর বাসস্ট্যান্ড, ইচাইল, কুর্ণী, শুভুল্যা, কদিমধল্যা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলছে। যানবাহনের সংখ্যাও কম। তবে মোটরসাইকেল আছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ। অন্য সড়কে চলাচলকারী যানবাহন এ সড়কে চলছে। ঘরমুখী মানুষ বাস-ট্রাকের ছাদে ও মোটরসাইকেলে ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে টাঙ্গাইলের দিকে যাচ্ছিলেন এনজিও কর্মী মো. আলামিন। তাঁর মোটরসাইকেলের দুই পাশে কয়েকটি ব্যাগ বাঁধা ছিল। বেলা ১১টার দিকে মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার শুভুল্যা এলাকায় একটি ব্যাগ ছিঁড়ে নতুন কাপড় রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পড়ে যায়।
মোটরসাইকেল থামানোর পর ব্যস্ততম মহাসড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দৌড়ে দৌড়ে কাপড় সংগ্রহ করেন তাঁর স্ত্রী। তিনি ও তাঁর ছেলেও রাস্তা থেকে কাপড় সংগ্রহ করেন। এত ঝুঁকি নিয়ে কেন মোটরসাইকেলে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন, এমন প্রশ্নে আলামিন বলেন, ‘কী করব ভাই, বাসে ওঠা কষ্ট। আস্তে আস্তেই তো যাচ্ছি। আল্লাহর ওপর ভরসা আছে।’
এদিকে মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অবাধে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে। মানুষ অটোরিকশা ভাড়া করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। টাঙ্গাইলগামী বাসযাত্রী শামীম রেজা বলেন, ‘ঈদের সময় বাসে ভিড় আছে। তবে রাস্তা এত ফাঁকা থাকবে বুঝতেই পারিনি।’
টাঙ্গাইলের সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর সার্কেল) এস এম মুসা বলেন, চার লেনের মহাসড়কের পাশাপাশি দুই পাশের সার্ভিস লেন থাকার কারণে যান চলাচলে তেমন সমস্যা হচ্ছে না। এ জন্য রাস্তার অবস্থা মির্জাপুর অংশে খুবই ভালো। টাঙ্গাইলের দিকেও গাড়ির স্বাভাবিক গতি রয়েছে। গোড়াই উড়ালসড়ক যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ায় যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা এর সুবিধা ভোগ করছেন।