তফসিল ঘোষণা হলেও তাড়াশ পৌরসভা নির্বাচন হচ্ছে না

পৌরসভা নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

তৃতীয় ধাপে দেশের ১০টি পৌরসভায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌরসভাও রয়েছে। তবে এই পৌরসভার ওয়ার্ড বিভাজন সম্পন্ন না হওয়ায় ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। আজ শুক্রবার দুপুরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী ২ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ৪ নভেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই ও ১১ নভেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ২৮ নভেম্বর এসব পৌরসভায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ করার কথা রয়েছে। তবে তাড়াশ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণ চূড়ান্ত হলে তারপর নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ওয়ার্ড বিভাজন সম্পন্ন হওয়ার পর তাড়াশ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি পর্যালোচনা করে নির্বাচন কমিশন একটি সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করবে।

২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর তাড়াশ পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। পরের বছর ৭ জানুয়ারি এ–সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ হয়। তাড়াশ সদর, বারুহাঁস ও মাধাইনগর ইউনিয়নের ২৭ দশমিক ৫৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে পৌরসভা গঠিত হয়। পৌরসভায় বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। এর মধ্যে ভোটার আছেন ১৬ হাজার ৭১৬ জন। প্রতিষ্ঠার পর প্রায় চার বছর পার হলেও তাড়াশ পৌরসভায় এখনো কোনো নির্বাচন হয়নি। প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালিত হলেও নির্বাচন না হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন পৌরবাসী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় তিন বাসিন্দা বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় এখানকার নাগরিকদের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি। গতকাল নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর তাঁরা খুশি হয়েছেন। কিন্তু এখনো পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের সীমানা চূড়ান্ত না হওয়ায় নির্বাচন হবে না জেনে আক্ষেপ প্রকাশ করেন তাঁরা।

এদিকে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী ব্যক্তিরা তফসিল ঘোষণার পর থেকে জোরেশোরে জনসংযোগে নেমেছেন। তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাবুল শেখ বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আছি। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর প্রচারণা আরও বেড়েছে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আমাদের নির্বাচন করার প্রস্তুতি আছে। কিন্তু ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণ চূড়ান্ত না হওয়ায় এবারও নির্বাচন হবে কি না, সেটি নিয়ে সন্দেহ আছে।’

তাড়াশ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার রায় বলেন, ওয়ার্ড বিভাজনের কিছু কাজ এখনো বাকি আছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।