তরুণকে কুপিয়ে মৃত ভেবে পুকুরে ফেলে গেল দুর্বৃত্তরা

রাজশাহীর বাগমারায় শান্ত ইসলাম (২০) নামের এক তরুণকে কুপিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এরপর মারা গেছেন ভেবে ওই যুবককে তারা পুকুরে ফেলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

শান্ত উপজেলার ঝিকড়া গ্রামের কুদাপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে। পুকুরের পাড় কেটে দেওয়ার প্রতিবাদ করাতে তাঁর ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আজ রাত সাড়ে নয়টার দিকে যোগীপাড়া ইউনিয়নের ভটখালী গ্রামের মুন্টু হোসেনের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে পাশের ঝিকড়া ইউনিয়নের কুদাপাড়া বিলে জনৈক ছমির হোসেনের পুকুরের পাড় কাটার জন্য আসেন।

ওই পুকুরের পাড় কেটে দিলে তাঁদের এলাকার বন্যার পানি পুকুরে এসে পড়লে তাদের দুর্ভোগ কমবে এমন ধারণা থেকে তারা পাড় কাটার পরিকল্পনা করে। তারা পুকুরের চারপাশে পাহারা বসিয়ে পাড় কাটতে থাকলে পুকুরের মালিক ছমির হোসেনের ভাতিজা শান্ত ইসলাম বাধা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা শান্তকে কুপিয়ে জখম করে পানিতে ফেলে দিয়ে চলে যায়।

এ সময় ঘটনাস্থলের অদূরে থাকা লোকজন অচেতন অবস্থায় শান্তকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

ঝিকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য আবদুল মানিক জানান, শান্তর শরীরের বিভিন্ন স্থান ছাড়াও পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করায় পেটের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে গেছে। পুকুর মালিক ছমিরের ক্ষতিসাধনের জন্যই দুর্বৃত্তরা শান্তর ওপর নির্মম হামলা করেছে।

ছমির হোসেন জানান, ভটখালী গ্রামের জনৈক মুন্টুর নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা তাঁর ভাতিজার ওপর হামলা করে মৃত ভেবে পানিতে ফেলে চলে গেছে। এ ছাড়া তাঁর পুকুরের প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ ক্ষতি করা হয়েছে। পুকুরের সব মাছ ভেসে গেছে। থানায় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন।

তবে অভিযুক্ত মুন্টু বা অন্যদের মুঠোফোন নম্বর না থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাটি জেনেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।