তিন জেলার সীমান্তে বসেছে মৌসুমি ফলের মেলা

ছুটির দিনে সকাল থেকেই আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা মেলায় ভিড় জমান। শুক্রবার শেরপুর উপজেলায় বিশালপুর ইউনিয়নের রানীরহাট এলাকায়।
ছবি: প্রথম আলো

তিন জেলার সীমান্তবর্তী স্থানে বসেছে মেলা। ছুটির দিনে সকাল থেকেই আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা মেলায় ভিড় জমান। অন্যান্য মেলা থেকে এই মেলা আলাদা করা হয় গ্রীষ্মকালীন নানা রকম ফলের কারণে।

মেলাটি বসেছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বিশালপুর ইউনিয়নের রানীরহাট এলাকায়। এর আশপাশে আছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ও নাটোরের সিংড়া উপজেলার গ্রাম। গতকাল বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই মেলা চলবে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত।

স্থানীয় ব্যক্তিদের ভাষ্য, মৌসুমি নানা রসাল ফল ওঠে এই মেলায়। বিভিন্ন জেলা থেকে লিচু, আম, পাকা কাঁঠালসহ হরেক রকমের ফল বিক্রি হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় মাছ, মসলা, শীতলপাটি, শিশুদের খেলনার দোকান তো আছেই।

রানীরহাটের পল্লিচিকিৎসক নাজিম উদ্দিন বলেন, এই মেলা ঘিরে ওই তিন উপজেলার অন্তত ১০০টি গ্রামে আত্মীয়স্বজনকে দাওয়াত করা হয়। এবারও অনেক বাড়িতে আত্মীয়, মেয়ের জামাইয়েরা এসেছেন।

শুক্রবার সরেজমিন দেখা যায়, মেলায় বিনোদনের জন্য আছে দোলনা, গোলাকার ঘরে মোটরসাইকেল ঘোরানো, মিনি সার্কাস। ১০ থেকে ১০০ টাকা টিকিট কেটে এসব উপভোগ করা যাচ্ছে।

বিশালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান বলেন, বোরো মৌসুমে কৃষকেরা ধান ঘরে তোলার পর এই মেলার আয়োজন করা হয়। মেলাকে ঘিরে ওই তিন উপজেলার অন্তত ১০০ গ্রামের মানুষ বাড়িতে আত্মীয়দের নিয়ে আনন্দে মেতে থাকে।

এই মেলার খাজনা আদায়কারীদের একজন মো. মঞ্জু। তিনি বলেন, জোরপূর্বক কিছু ব্যক্তি মেলা চত্বরে জুয়া বসিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন একটু উদ্যোগী হলে মেলা চত্বরে জুয়ার আসর বন্ধ হবে।

এ প্রসঙ্গ নিয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ময়নুল ইসলাম বলেন, ওই মেলায় জুয়ার আসর বন্ধে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।