দলছুট হাতিকে বনে ফেরাতে গিয়ে প্রাণ হারালেন পাহারাদার
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ভেওলা মানিকচর (বিএমচর) এলাকায় লোকালয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছিল একটি দলছুট হাতি। হাতিটিকে বনে ফেরাতে গিয়ে এর আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন বন বিভাগের এক পাহারাদার (ভিলেজার)। আজ সোমবার সকাল আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ২৮ বছর বয়সী মো. রহমত উল্লাহ চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রিংভং ছগিরশাহকাটা গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে। তিনি ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের অধীন ভিলেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রথম আলোকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফাঁসিয়াখালী বন রেঞ্জ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
এই বন কর্মকর্তা বলেন, বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত বিএমচর এলাকাতেই ছিল বন্য হাতিটি। সেখানকার লোকজনের ঘরবাড়ি ও ফসলের জমিতে তাণ্ডব চালাচ্ছিল। বন বিভাগের কর্মী ও ভিলেজাররা হাতিটিকে বনে ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। হাতির তাণ্ডবে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাতিটি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় কৃষক আবদুল হান্নান বলেন, আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে দলছুট একটি বন্য হাতি বিএমচরের পাহাড়িয়াপাড়ার সবজিখেতে অবস্থান করছিল। সকাল ছয়টার দিকে কৃষকেরা মাঠে গেলে বন্য হাতিকে দেখতে পান। এ সময় স্থানীয় উৎসুক জনতা এলাকায় হাতি এসেছে বলে চিৎকার ও হইচই শুরু করেন। মুহূর্তে সেখানে জড়ো হয় শত শত লোক।
সকাল আটটার দিকে সাফারি পার্ক, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ ও বন বিটের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং থানা–পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করে। বন্য হাতিকে তাড়ানোর জন্য বন বিভাগের ভিলেজার রহমত খড়ে আগুন ধরিয়ে হাতির দিকে নিক্ষেপ করেন।
এ সময় হাতিটি দৌড়ে এসে রহমতকে আক্রমণ করে এবং পা দিয়ে পিষে আহত করে। বন বিভাগ ও পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।