কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া ১৩ জনের মধ্যে ৭ জন আজ শুক্রবার রাতে প্রথম আলোর কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ সময় কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন বলে জানান তাঁরা।
মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক। আজ বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের এক সভায় তাঁর মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়।
জানতে চাইলে মনোনয়নপ্রত্যাশী সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আঞ্জুম সুলতানা বলেন, ‘সবই আল্লাহর হুকুম। সবাই নৌকার জন্য কাজ করব। নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
নিজে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নন বলে জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ওমর ফারুক। এই মনোনয়নপ্রত্যাশী বলেন, ‘নেত্রী যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, সেটা মেনে নিয়েছি।’
আর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম শিকদার বলেন, ‘যেহেতু নেত্রীর ও মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত, অতএব অভিনন্দন।’
দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক নূর উর রহমান মাহমুদ তানিমও। তিনি বলেন, ‘জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে যখন ষড়যন্ত্রকারীরা ঐক্যবদ্ধ, তখন প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের প্রার্থীকে স্বাগত জানাই।’
মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম শিকদার বলেন, ‘মনোনয়ন বোর্ড যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই।’
অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান অবশ্য এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য মাসুদ পারভেজ খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী দিয়েছেন, মানা ছাড়া আমাদের উপায় নেই।’
২০১১ সালের ১০ জুলাই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি প্রথম ও ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফা নির্বাচন হয়। দুটি নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের সমর্থিত ও মনোনীত প্রার্থী মেয়র পদে পরাজিত হন।
আগামী ১৫ জুন এই সিটি করপোরেশনে আবারও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৭ মে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।