দাউদকান্দিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে যানজটের সৃষ্টি হয়
প্রথম আলো

ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে তীব্র যানজট শুরু হয়েছে। যানজটটি দাউদকান্দির শহীদনগর থেকে পুটিয়া পর্যন্ত ১০ কিলোমিটারে পৌঁছেছে। দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থেকে যানবাহনের ঘরমুখী যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেকে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকার পর হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার সিরিয়াল গ্রামের বাসিন্দা চাকরিজীবী কাউসার আলম আজ সকাল ৯টার দিকে দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে যানজটে আটকে থেকে বলেন, স্ত্রী নিঝুম আক্তার ও ছয় মাসের মেয়ে ফাতিহাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে রওনা হন ভোর পাঁচটায়। ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাসে ওঠেন তাঁরা। পথে যানজটে আটকে থেকে দাউদকান্দির গৌরীপুর পর্যন্ত এক ঘণ্টার পথ পার হতে চার ঘণ্টা সময় লেগেছে। বাকি পথের ভোগান্তি মাথায় রেখেই আপনজনের সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছেন বলে জানালেন।

ঢাকা থেকে কুমিল্লাগামী প্রাইভেট কারের চালক জাহিদ হাসান বলেন, ‘ভোর পৌনে পাঁচটায় ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে কুমিল্লার মুরাদনগরের দিকে রওনা দিয়েছি। পথে পথে শুধু যানজট আর যানজট। ঈদ সামনে রেখে যানবাহনের সংখ্যা বাড়ায়, উল্টো পথে যানবাহন চলায়, মহাসড়কের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে লোকাল বাসের স্ট্যান্ড গড়ে তোলায়, পণ্যবাহী যানবাহন ছোট যানবাহনকে যথাসময়ে সাইট না দেওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। গণপরিবহন ছাড়াই মহাসড়কে এমন পরিস্থিতি। গণপরিবহন চলাচল করলে অবস্থা কী হতো?’

দাউদকান্দির উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাবিউল্লাহ ও দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা মিতা সাহা বলেন, ঈদ সামনে রেখে মহাসড়কে যানজট তীব্র আকার ধারণ করায় তাঁদের যাতায়াতে ভোগান্তি হচ্ছে।

কুমিল্লা থেকে দাউদকান্দিগামী পাপিয়া পরিবহনের বাসের চালক মানিক মিয়া বলেন, ঈদ সামনে রেখে পথে পথে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে সময় ও গ্যাসের অপচয় হচ্ছে। ওই বাসের যাত্রী চান্দিনা সদরের বাসিন্দা চাকরিজীবী সোহেল মিয়া বলেন, ‘বাড়ি থেকে দাউদকান্দির গৌরীপুরে আজ সকালে রওনা দিয়ে পথে তীব্র যানজটে আটকা পড়ি। পরে দাউদকান্দির গৌরীপুর পর্যন্ত সাত কিলোমিটার পথ হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছেছি।’

দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আবদুল্লাহ বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সার্বক্ষণিক হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।