দাবি না মানলে পদত্যাগ

সেলিম হোসেন

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) হলে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রাধ্যক্ষরা (প্রভোস্ট) নানাভাবে হেনস্তা হয়েছেন। ছাত্রসংগঠনের নেতা–কর্মীদের চাপে পড়তে হয়েছে তাঁদের। সর্বশেষ লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর পর সরব হয়েছেন প্রাধ্যক্ষরা। সুষ্ঠুভাবে হল পরিচালনার জন্য কিছু নিয়মনীতি পরিবর্তন ও সংশোধনের দাবি তুলেছেন তাঁরা। এসব দাবি না মানা হলে তাঁরা সবাই পদত্যাগ করবেন বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

১ ডিসেম্বর হল সমন্বয় কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক প্রাধ্যক্ষ প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়েছেন।

অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেন (৩৮) গত ৩০ নভেম্বর মারা যান। অভিযোগ উঠেছে, কুয়েট ছাত্রলীগের কিছু নেতা–কর্মীর মানসিক নিপীড়নের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

বৈঠক সূত্র জানায়, ১ ডিসেম্বরের বৈঠকে হলের বিভিন্ন সমস্যা ও তা থেকে উত্তরণের বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় হল ও ডাইনিং পরিচালনা, আসন বণ্টন ও ডাইনিং ব্যবস্থাপক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য করাসহ বেশ কিছু দাবি উত্থাপন করা হয়। এসব দাবি বাস্তবায়িত না হলে প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষরা অব্যাহতি দেবেন বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।

ড. এম এ রশীদ হলের সহকারী প্রাধ্যক্ষ হামিদুল ইসলাম বলেন, স্যারের মৃত্যু সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছে। সবাই মনে করছেন, দাবিসমূহের বাস্তবায়ন হলে প্রভোস্টরা আরও চাপমুক্ত হয়ে কাজ করতে পারবেন।

হল সমন্বয় কমিটির ওই দিনের সভার সিদ্ধান্ত এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণবিষয়ক পরিচালক ইসমাঈল সাইফুল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, সভার খসড়া কার্যবিবরণী তৈরি করে হল সমন্বয় কমিটির সদস্যদের কাছে পাঠানো হয়েছে। দাবির কিছু সংযোজন–বিয়োজন হবে। আগামী দুই–এক দিনের মধ্যে প্রশাসনের কাছে সিদ্ধান্ত তুলে ধরা হবে।