দিনাজপুরে মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় যুবলীগের সাবেক নেতা কারাগারে
দিনাজপুরে অর্থ পাচার প্রতিরোধ (মানি লন্ডারিং) আইনের মামলায় জেলা যুবলীগের সাবেক এক নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বিকেলে দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বি এম তারিকুল কবীর এ আদেশ দেন।
যুবলীগের ওই নেতার নাম খলিলুল্লাহ আজাদ ওরফে মিল্টন। তিনি খানসামা উপজেলার পূর্ব বাসুলী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হাবিবুল্লাহ আজাদের ছেলে। দিনাজপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সহসম্পাদক। প্রতারণার মাধ্যমে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা উপার্জনের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
দিনাজপুর আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর আসামি খলিলুল্লাহর নামে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ (২) ধারায় সিআইডির উপপরিদর্শক রোকনুজ্জামান একটি মামলা করেন। এরপর উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এ মামলায় খলিলুল্লাহর মা রহিমা বেগমসহ অজ্ঞাতনামা দু-তিনজন আসামিও রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি মিল্টনের বিরুদ্ধে প্রতারণা, টেন্ডারবাজি, বালুমহাল–জলমহাল দখলসহ বিভিন্ন সময় খানসামা থানায় ভুক্তভোগীরা ১৩টি মামলা করেন। সেই মামলার সূত্র ধরেই দিনাজপুর সিআইডি ছায়া তদন্ত করেন। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের পক্ষ থেকে দেওয়া ব্যাংক হিসাবসংক্রান্ত তথ্য ও বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদির ভিত্তিতে সিআইডি এ মামলা করেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি খলিলুল্লাহর ১২টি ব্যাংক হিসাবে বিভিন্ন ভুয়া ও নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে ২০১৩ সালের জুন থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত ৩৪ কোটি ৮৩ লাখ ২৯ হাজার ৮১১ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের হিসাব পাওয়া যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় জমিজমা নামে–বেনামে কিনে তা আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে হস্তান্তর করেছেন, যা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
গত বছর ১৯ নভেম্বর প্রতারণা মামলায় যুবলীগের ওই নেতাকে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে আটক করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। সেই সময় ভুক্তভোগীদের করা মামলায় প্রায় পাঁচ মাস জেলহাজতে থাকার পর জামিনে বের হন তিনি। বর্তমানে ১৩টি মামলায় জামিনে আছেন খলিলুল্লাহ।