দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ক্ষতবিক্ষত কিশোরীর শরীর, ৬ দিন পর মামলা
হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক কিশোরীকে (১৭) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুর্বৃত্তরা শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছুরিকাঘাতে ক্ষতবিক্ষত ওই কিশোরী বর্তমানে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার ছয় দিন পর গতকাল সোমবার রাতে ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল রাতে মেয়েটি তার ঘর থেকে বের হয়ে নলকূপের পাড়ে যায়। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত আগ থেকে সেখানে অবস্থান করছিল। মেয়েটি ঘর থেকে বের হওয়ার পর পাঁচ–ছয়জনের দলটি কিশোরীর মুখ চেপে ধরে। এরপর একটি নির্জন স্থানে নিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে মাধবপুর উপজেলা সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে হবিগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলেও দায়িত্বরত চিকিৎসক মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
মেয়েটির বাবা বলেন, গ্রামের এক তরুণ তাঁর মেয়েকে নানা সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে সে রাজি না হওয়ায় সঙ্গে আরও পাঁচজনকে নিয়ে এ ঘটনা ঘটান।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, গ্রামের এক তরুণ প্রায়ই মেয়েটিকে উত্যক্ত করতেন। এই একপর্যায়ে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কিবরিয়া হাসান প্রথম আলোকে বলেন, মেয়েটির শরীরের নানা স্থানে অসংখ্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে সে সিলেট মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। সোমবার রাতে মেয়ের বাবা ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।