দৌলতদিয়া ঘাটে এখনো ঢাকামুখী মানুষের ভিড়
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে এখনো ঢাকাগামী মানুষের ভিড় অব্যাহত রয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে দৌলতদিয়ার প্রতিটি ঘাটে ফেরিতে ঢাকাগামী মানুষের ভিড় দেখা যায়। বিপরীত দিকে ফেরিতে দক্ষিণাঞ্চলগামী ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি দেখা গেলেও মানুষের খুব একটা ভিড় ছিল না।
মঙ্গলবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায়, ৩ নম্বর ঘাটে কয়েকটি বড় ফেরি নোঙর করা রয়েছে। পাশাপাশি ৩ নম্বর ঘাটের একটি পকেটে ছোট ফেরিতে যানবাহন ওঠানামা করছে। ৪ ও ৫ নম্বর ঘাটে ছোট ফেরিগুলো যানবাহন ওঠানামা করছে। এ সময় পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরিগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি দেখা যায়। যাত্রীসংখ্যা ছিল স্বাভাবিক। অথচ দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ফেরিতে ব্যক্তিগত গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেল এবং যাত্রীদের চাপ ছিল। ঢাকামুখী এসব যাত্রীর অধিকাংশ ছিলেন কর্মমুখী।
কারওয়ান বাজারের একটি আড়তের ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেন মইনুল হক শামীম। তিনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন। আলাপকালে তিনি বলেন, গতকাল বাড়িতে জরুরি কাজে এসেছিলেন। আসতে অনেক কষ্ট হয়েছিল। এখন যেতেও অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। তারপরও যেতে হচ্ছে। কাজ না করলে মহাজন তো বসিয়ে বসিয়ে বেতন দেবেন না। তাই খুব সকালে রওনা করে অটোরিকশায় ভেঙে ভেঙে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত এসেছেন। এখন ভাগ্যক্রমে একটি ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ভাড়া নিয়ে যাচ্ছেন। ৫০০ টাকায় তাঁকে ফার্মগেট পর্যন্ত নামিয়ে দেবেন।
৩ নম্বর ফেরিঘাটে ভেড়ানো বনলতা নামের ছোট ফেরিতে ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি মানুষ ঠাসাঠাসি করে উঠছেন। এ সময় যাত্রীদের টিকিট দেখার সময় ফেরির স্টাফদের সঙ্গে যাত্রীদের কিছুটা বাগ্বিতণ্ডা হয়। আলাপকালে ওই ফেরির এক স্টাফ বলেন, ফেরি ছাড়তে দেখলেই যাত্রীরা দৌড়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এ সময় স্থানীয় ইজারাদারের লোকজন ফেরিতে ওঠার টিকিট চেক করেন। কয়েকজন যাত্রী চেকটেক না মেনেই ফেরিতে উঠে পড়া নিয়ে কিছুটা তর্ক–বিতর্ক হয়। তিনি আরও বলেন, ঢাকামুখী মানুষ এখনো ছুটছেন। গতকাল তেমন একটা ভিড় ছিল না। কিন্তু আজ সকালেই মানুষের ভালো ভিড় চোখে পড়ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাঁরা এখনো দিনের বেলায় সাধারণ পরিবহন পারাপার করছেন না। ব্যক্তিগত গাড়ি বা মোটরসাইকেল বেশ ভালোই পারাপার হচ্ছে। তবে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে বড় ফেরি চলাচলের নির্দেশনা এসেছে। এখন থেকে প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত বড় ফেরিতে সব ধরনের পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার হবে। আর বাকি সময়ে শুধু ছোট ফেরিতে অতি জরুরি, লাশবাহী বা রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ ব্যক্তিগত গাড়ি পার হবে।