গাজীপুরে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কৃষিশ্রমিকেরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বিজ্ঞানীদের মেধা ও মনন আর কৃষিশ্রমিকদের শ্রম-ঘামে দেশে ১০৬টি উচ্চফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, যা দেশের খাদ্যনিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
শুক্রবার সকালে গাজীপুরের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের নবনির্মিত শ্রমিক কলোনি ভবন উদ্বোধন শেষে কৃষিমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মুজিব শতবর্ষের উপহার হিসেবে শ্রমজীবী মানুষের আবাসনের জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। নবনির্মিত ভবন এর একটি বাস্তব উদাহরণ।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব (বিদায়ী) মেসবাহুল ইসলাম, নবনিযুক্ত কৃষিসচিব সাইদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীরসহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত নতুন (ধান কাটার মেশিন) কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার প্রযুক্তি পরিদর্শন করেন। এরপর কৃষিমন্ত্রী ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত বার্ষিক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে মেসবাহুল ইসলামকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আর নবনিযুক্ত কৃষিসচিব সাইদুল ইসলামকে বরণ করে নেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।