বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য হাসিবুর রশীদ বলেছেন, ‘ঢাকায় লিয়াজোঁ অফিস পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করেছি। এখন থেকে সব মিটিং বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে।’ এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের নানা সমস্যা সমাধানেরও আশ্বাস দেন।
আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক অবস্থানের কথা জানিয়ে উপাচার্য হাসিবুর রশীদ বলেন, ‘এখানে যে একাডেমিক সমস্যাগুলো আছে, তা দূর করার চেষ্টা করব। আগামী চার বছরে বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন পূর্ণাঙ্গতা পায়, সে ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা আশা করছি। আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয়টি এগিয়ে যাক।’
উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যায়ের অভ্যন্তরীণ যেসব সমস্যা আছে, সবার আগে তার সমাধান করতে হবে। তবে খুব দ্রুত এ সমস্যাগুলো সমাধান করা যাবে না। কারণ, সমস্যাগুলো এক দিনে তৈরি হয়নি। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে আলাপ করে সবাইকে নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলো নিরসনের চেষ্টা করবেন।
শিক্ষার্থীদের সেশনজট দূর করারও আশ্বাস দেন উপাচার্য। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীতের অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পেয়ে থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
এর আগে সকালে ঢাকা থেকে উড়োজাহাজে করে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান নবনিযুক্ত উপাচার্য হাসিবুর রশীদ। পরে সড়কপথে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। সরাসরি যান উপাচার্যের কার্যালয়ে। সেখানে হাসিবুর রশীদকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক হাসিবুর রশীদ রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য পদে নিয়োগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে ৯ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, ১৪ জুন থেকে অধ্যাপক হাসিবুর রশীদের এই নিয়োগ কার্যকর হবে।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর শেষ কর্মদিবস ছিল গতকাল রোববার। শেষ কর্মদিবসেও ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালের ১৪ জুন তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব নেন। উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রধান অভিযোগ ছিল, তিনি ক্যাম্পাসে আসেন না। ঢাকায় লিয়াজোঁ অফিস থেকেই উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন।