নতুন জীবন পেল লজ্জাবতী বানর, চন্দনা টিয়া

চন্দনা টিয়ার বাচ্চা ও লজ্জাবতী বানর

শ্রীমঙ্গলের কালীঘাট চা-বাগান এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি বানর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই আহত বানরটিকে আক্রমণ করে একটি কুকুর। বানরটি তখন মৃতপ্রায় অবস্থায় পড়ে থাকে। অচেনা প্রাণী বলে এলাকাবাসী এসে বানরটিকে শিকলে বেঁধে রাখেন।

কিছুক্ষণ পরই বানর বেঁধে রাখার খবর পান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্ট্যান্ড ফর আওয়ার এনডেঞ্জার্ড ওয়াইল্ডলাইফের (সিউ) সদস্যরা। পরে তাঁরা বিষয়টি বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে জানালে সবাই একসঙ্গে বানরটি উদ্ধার করেন। গতকাল শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।

আহত বানরটি লজ্জাবতী বানর বলে জানিয়েছে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। ওই বানরকে এখন বন বিভাগের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসংলগ্ন জানকীছড়া বন্য প্রাণী রেসকিউ সেন্টারে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে একই দিন সকালে শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া চা-বাগান এলাকা থেকে খাঁচাবন্দী চন্দনা টিয়া পাখির বাচ্চা উদ্ধার করেছেন সিউয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সোহেল শ্যাম। লজ্জাবতী বানর আর চন্দনা টিয়া, দুটি প্রাণীই বিপন্ন প্রজাতির। সিউয়ের সদস্যদের উদ্যোগে প্রাণী দুটি নতুন জীবন পেয়েছে।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে জানা গেছে, বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে বানরটি মাটিতে পড়ে গিয়েছিল। এরপর একটি কুকুর বানরটিকে আক্রমণ করে। বানরটির বাঁ হাতের মাংস ঝলসে গেছে। আর কুকুরের আক্রমণে পা আক্রান্ত হয়েছে। পরে অপরিচিত প্রাণী হিসেবে বানরটিকে স্থানীয় লোকজন শিকলে বেঁধে রেখেছিলেন। বানরটি এখন জানকীছড়া বন্য প্রাণী রেসকিউ সেন্টারে আছে। সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত এখানেই থাকবে।