নতুন সাইকেলে দুশ্চিন্তা দূর হলো মিতু খাতুনের

মিতুর হাতে নতুন সাইকেল তুলে দেন ইউএনও এস এম শাহিন। গত সোমবার
ছবি: প্রথম আলো

বিজয় দিবসে সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ঝিনাইদহ শহরের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে এসেছিল স্কুলছাত্রী মিতু খাতুন। কিন্তু প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই স্টেডিয়াম থেকে হারিয়ে যায় তার সাইকেলটি। অন্যের সাইকেল ধার করে অংশ নেয় সে।

প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হলেও মুখে হাসি ছিল না মিতুর। তার অবস্থা দেখে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শাহিন নতুন সাইকেল উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন। গত সোমবার সদর উপজেলা পরিষদ ভবনে মিতুর হাতে নতুন সাইকেল তুলে দেন ইউএনও।

মিতু ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আজিজুল ইসলামের মেয়ে। চার ভাইবোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। তার বাবা অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চালান। মিতু ঝিনাইদহ শহরের ফজর আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী। বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। তিন বছর আগে মিতুকে একটি সাইকেল কিনে দেন তার খালা। ওই সাইকেলে চড়ে সে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করত।

মিতু জানায়, ছোটবেলা থেকেই তার সাইকেল চালানোর খুব শখ ছিল। স্কুলে যাতায়াত করতে করতে সে সাইকেল চালানোয় পারদর্শী হয়ে ওঠে। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় নাম লেখায় সে। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য সে সাইকেল নিয়ে সকাল নয়টায় শহরের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছায়। সাইকেলটি স্টেডিয়ামের ভেতর একটি জায়গায় রেখে প্রতিযোগিতার বিষয়ে খোঁজ নিতে যায়। মুহূর্তের মধ্যে সাইকেলটি চুরি হয়ে যায়।

মিতু আরও জানায়, তখন বেশ কয়েকজনের কাছে সাইকেল ধার চেয়েছিল। কিন্তু কেউ দেয়নি। অল্প বয়সের একটি ছেলে সাইকেল দিয়ে সহযোগিতা করে। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সে চ্যাম্পিয়ন হয়।

ইউএনও এস এম শাহিন বলেন, সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও মিতু কান্নাকাটি করছিল। তখনই মেয়েটিকে একটি নতুন সাইকেল দেওয়ার কথা জানান তিনি। ব্যক্তিগত অর্থে সোমবার তিনি সাইকেলটি মিতুর হাতে তুলে দিয়েছেন।