নরসিংদীতে কলাখেত থেকে নারীর কোপানো লাশ উদ্ধার
নরসিংদী সদর উপজেলার মধ্য শিলমান্দীতে গতকাল রোববার রাতে কলাখেত থেকে গুলমেহের বেগম (৪৭) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের স্ত্রী। তিনি ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে ওই কলাখেতে গিয়েছিলেন।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, গুলমেহের বেগমের এক ছেলে ও তিন মেয়ে। ছেলে ওমানে কাজ করেন। বড় দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছোট মেয়েকে নিয়ে তিনি থাকতেন। স্বামীর মৃত্যুর পর উপার্জন বাড়াতে তিনি ছাগল পালন শুরু করেন।
পুলিশ ও নিহত নারীর স্বজনেরা বলেন, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওমানপ্রবাসী ছেলে মামুনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন গুলমেহের বেগম। পরে তিনি ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে বের হন। বিকেলের দিকে স্থানীয় কয়েকজন কলাখেতের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। নরসিংদী মডেল থানার পুলিশকে খবর দিলে তারা লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদী মডেল থানার উপপরিদর্শক শামীম বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় ওই নারীর ঘাড়, হাত ও পিঠে বেশ কিছু ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
গুলমেহের বেগমের জামাতা সাইফুল ইসলাম সপরিবারে ঢাকায় থাকেন। শাশুড়ির হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে তিনি এখানে এসেছেন। নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘জানি না কারা এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে ১৫ দিন আগে শাশুড়ি বলছিলেন, তাঁর বসতবাড়ির জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশী স্বজনদের সঙ্গে ঝামেলা চলছে।’
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সওগাতুল আলম বলেন, মৃত নারীর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরেই হয়তো তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হবে।