সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ১০টার দিকে রাঙামাটি জেলা পুলিশে কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) মেজবাউল হক তাঁর স্ত্রী শিরিন সুলতানাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় যাচ্ছিলেন। পথে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পকেটখালী এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল তাঁদের গতিরোধ করে পাশের একটি গমখেতে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁদের দুজনকে বেঁধে রেখে মোটরসাইকেল ও স্বর্ণালংকার লুট করে চলে যায়। পথচারীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে।
এসপি লিটন কুমার সাহা বলেন, এ ঘটনায় শিরিন সুলতানা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তার করতে জেলা পুলিশ পাঁচটি দল গঠন করে অভিযান শুরু করে। তাদের মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার তিন চিহ্নিত ডাকাতের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। তাঁরা আটক হওয়ার পর পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ডাকাতি করা মোটরসাইকেল ও চারঘাট থেকে স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া গ্রামের আছের মণ্ডলের ছেলে লালচান মণ্ডল (৫৬), একই উপজেলার বাটিকামারি গ্রামের চান মোহাম্মদের ছেলে কালাম হোসেন (৩৫), মংলি গ্রামের মো. রাসেল (৪০), নাটোরের লালপুর উপজেলার মিয়াপুর গ্রামের মাজদার হোসেনের ছেলে আফজাল হোসেন (৫৫) ও পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার চরগড়গড়ি গ্রামের আজিজ মৃধার ছেলে মো. আজমকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আজমের কাছ থেকে ডাকাতি করা মোটরসাইকেল ও কালামের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।