নাফ নদী থেকে আজও দুটি লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় আজ সোমবার এক নারী ও এক শিশুকন্যার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুজনের কোনো পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে নারীর আনুমানিক বয়স ৩০ ও শিশুকন্যার বয়স ৮ বছর হতে পারে।
এ নিয়ে গত তিন দিনে নাফ নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় ৬ জনের লাশ উদ্ধার করল পুলিশ। এর মধ্যে শনি ও রোববার উদ্ধার একই পরিবারের এক নারী ও তিন শিশুর লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। রোববার উদ্ধার হওয়া লাশটি উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর ক্যাম্পের রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের বাসিন্দা জানে আলমের (৩১) মেয়ে নুর সাইদার (৫)। শনিবার জানে আলমের স্ত্রী সমজেদা বেগম (২৬) এবং দুই মেয়ে রশিদা বেগম (৩) ও ছলমা বিবির (১) লাশ নাফ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। এখনো জানে আলম নিখোঁজ। পুলিশের ধারণা, সোমবার উদ্ধার করা এক নারী ও এক শিশু রোহিঙ্গা নাগরিক হতে পারে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, আজ সোমবার বিকেলে সাড়ে পাঁচটার দিকে থানা–পুলিশের একটি বিশেষ দল উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী এলাকার নাফ নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় এক নারী ও এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, লাশ দুটির ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এই দুজনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। শনি ও রোববার উদ্ধার করা একই পরিবারের চারজনের লাশ শনাক্ত করে নিকটাত্মীয় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্বজনেরা বলছেন, শুক্রবার দিবাগত রাতে মিয়ানমারে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে ঝড়–বৃষ্টির কবলে পড়ে নৌকাডুবিতে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা প্রায়ই উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর ক্যাম্প থেকে মিয়ানমারে জানে আলমের মায়ের কাছে বেড়াতে যেতেন।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞার কথা বলে দীর্ঘ ৪ বছর ধরে নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ। অথচ রোহিঙ্গারা কীভাবে নাফ নদীতে বিচরণ করে, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।