সূত্র জানায়, চুনারুঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম আদালতের নির্দেশে বিষয়টি তদন্ত করেন। পরে তিনি আদালতকে জানান, যে ব্যক্তিকে (জসিম উদ্দিন) গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তিনি যৌতুক মামলার আসামি নন। তাঁর নাম ও বাবার নামে মিল থাকায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মনির হোসেন ভুলক্রমে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেন। মামলার প্রকৃত আসামি জসিম উদ্দিন (২৪) এখনো পলাতক।
আজ বিকেলে শুনানি শেষে হবিগঞ্জ আমলি আদালত-২-এর বিচারক গ্রেপ্তার জসিম উদ্দিনকে মুক্তির আদেশ দেন। পাশাপাশি পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণসংক্রান্ত মামলা রুজু ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। হবিগঞ্জ আদালতের পরিদর্শক আনিসুর রহমান আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিনের বাবা আবদুল হান্নান ওরফে মন্নান প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের ভুলে তাঁর ছেলে আট দিন কারাগারে থাকলেন। এমনকি বাদী নিজেও বলেছেন, যাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, তিনি তাঁর স্বামী বা আসামি নন। তাঁকে কেন পুলিশ গ্রেপ্তার করল, এটা তাঁর প্রশ্ন। তিনি ওই পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আশরাফ পুলিশের ভুলের কথা স্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে, যে ব্যক্তিকে যৌতুক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়, তিনি আসলে প্রকৃত আসামি নন। বিষয়টি আদালতকে জানানো হয়েছে। তবে আজ আদালতের দেওয়া নির্দেশনা আমরা এখনো পাইনি। নির্দেশনা পাওয়ার পর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’