নাসিরনগরের ১৩ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে স্বামী-স্ত্রীসহ আ.লীগের ৭ বিদ্রোহী

নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গতকাল রোববার। এদিন ১৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে স্বামী-স্ত্রীসহ সাতজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, হরিপুরন ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক মিয়া ও ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিরিন আক্তার—দুজনই বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা দুজন স্বামী-স্ত্রী।

আওয়ামী লীগের অন্য বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন নাসিরনগর সদর ইউনিয়নে উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদ, চাপরতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল হামিদ, ভলাকুটে সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী মো. শাহ আলম, চাতলপাড়ে মীর হোসেন ও পূর্বভাগ ইউনিয়নে মো. জাহের মিয়া।

১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে উপজেলার সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, বুড়িশ্বরে ৩, কুণ্ডায় ৫, পূর্বভাগে ৭, হরিপুরে ৫, গোয়ালনগরে ৩, ভলাকুটে ৪, ধরমণ্ডলে ৪, ফান্দাউকে ৪, চাপরতলায় ৬, গুনিয়াউকে ৪, গোকর্ণে ৭ ও চাতলপাড়ে ৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া ১৩টি ইউনিয়নে সাধারণ সদস্যপদে ৫০৯ জন ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যপদে ১৭০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এদিকে ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত থাকলেও ১৩টি ইউপির মধ্যে ১২টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির ১৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান বলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে উপজেলা বিএনপির কোনো কমিটি নেই। তাই নির্বাচন করতে তাঁদের কোনো বাধা থাকারও কথা নয়।

আগামী ১১ নভেম্বর ১৩টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ হবে। ২১ অক্টোবর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও ২৬ অক্টোবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।