পুলিশ ও নিহত যুবকের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের আগের দিন সোমবার সন্ধ্যায় একটা রিজার্ভ ভাড়া পেয়েছেন জানিয়ে নৌকা চালাতে বাড়ি থেকে বের হন ফাহিম। ওই রাতে তিনি বাড়িতে না ফেরায় রাতভর বিভিন্ন জায়গায় তাঁর খোঁজ করা হয়। পরের দিন (ঈদের দিন) সকালে তাঁর ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি পাশের শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ এলাকায় ভেসে থাকতে দেখা যায়। দিনভর ওই ঘাট এলাকা, আশপাশের বিভিন্ন স্থান ও স্বজনদের বাড়িঘরে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় বিষয়টি রায়পুরা থানার পুলিশকে জানিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন স্বজনেরা। আজ দুপুরে চরসুবুদ্ধি ইউনিয়নের আমিরাবাদ এলাকার মেঘনা নদীতে কচুরিপানার ভেতরে তাঁর লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পাশের মির্জারচর নৌফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এরপর নিহত যুবকের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাহিমের লাশ শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মির্জারচর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপপরিদর্শক) প্রদ্যুৎ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, নিহত যুবকের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে হত্যা করার পর নদীতে লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।